How To Get BRTA Driving Licence – 4 Steps!
অনেক আইডেন্টির মাঝে ড্রাভিং লাইসেন্স আইডেন্টিটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বাংলাদেশে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ১ বছরের মত লেগে যায় , মিনিমাম ৬ মাস তো লাগবেই। আর্জেন্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কোন উপায় নেই। অন্তত ৩-৫ মাস হাতে রেখে এই যুদ্ধে নামতে হবে। আমি আজকে আপনাদের স্টেপ বাই স্টেপ গাইড লাইন দিবো কীভাবে আপনি নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সটি করে নিতে পারেন।
BRTA Driving Licence Process
ধাপ- ১
লার্নার্স পারমিট সংগ্রহ
ধাপ- ২
ড্রাইভিং টেস্ট
ধাপ- ৩
স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদন
ধাপ- ৪
বায়োমেট্রিক
যা দেখছ তা তা না সব দেখা জানা না এক দুনিয়া ফানা ফানা আরেক দুনিয়া যাওয়া মানা
অনেক সহজ স্টেপ হলেও অনেক কঠিন আমি চেস্টা করবো খুব সহজ ভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করার জন্য, আপনার বুঝার সুবিধার্থে নিছের ভিডিওটি দেখুন।
ধাপ-০১: লার্নার্স পারমিট সংগ্রহ
গাড়ি চালানো শেখার পূর্বে এই লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার প্রথম ও প্রধান কাজ হলো আগে লার্নাস পারমিট নেয়া, নিছে স্টেপ গুলো দেয়া হলো ।
১. প্রথমে এই লিংক থেকে লার্নার্স লাইসেন্স এর ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট ক্রতে হবে ।
২. এরপর এই মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করে পূর্বের ন্যায় প্রিন্ট করে রাখুন। যে কোন রেজিষ্ট্রার্ড ডাক্তারের কাছ থেকে এই সার্টিফিকেট্টি পূরণ করাতে পারবেন। কিংবা ফার্মেসীতে যে জেনারেল প্র্যাক্টিশনার বসেন তার কাছে গেলেই এই সার্টিফিকেট পূরণ করতে পারবেন।
৩.ভোটার আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/পাসপোর্টের একটি সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।(যে কোন একটি থাকলেই হবে )
৪. ইলেকট্রিক বিলের একটি ফটোকপি সংগ্রহ করুন। ( অবশ্যই বর্তমান ঠিকানা যেখানে যেই স্থানের হতে হবে )
৫. সকল কাগজ/ডকুমেন্টস হাতে থাকলে এখন চলে যান নিকটস্থ BRTA অফিসে ।
ঢাকা মেট্রো-১: মিরপুর BRTA অফিস, মিরপুর-১৩. (গুগল ম্যাপ)
অধিভুক্ত থানা: রমনা, ধানমন্ডি, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, পল্লবী, উত্তরা, গুলশান, বাড্ডা, কাফরুল, ক্যান্টনমেন্ট, হাজারীবাগ এবং ঢাকা জেলার অন্তর্ভূক্ত সাভার ও ধামরাই।
উত্তরা BRTA অফিস (গুগল ম্যাপ)
ধ্রুন আপনি গাজিপুরে থাকেন কিন্তু আপনি চাচ্ছেন মিরপুরের BRTA অফিসে যেতে সেক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো – আপনার ডকুমেন্টস এর সাথে যে ইলেকট্রনিক বিলের কাগজ জমা দিবেন সেটা মিরপুরের কোন আত্মীয় বা পরিচিতদের থেকে কালেক্ট করে জমা দিতে পারেন।
৬. লার্নার্স লাইসেন্স পেতে একটি ফি জমা দিতে হয়। আপনার ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থাকলে আপনি এই লিংকে গিয়ে অনলাইনে ফি জমা দিতে পারবেন। এতে আপনার অনেক সময় বাচঁবে।অন্যথায়, আপনার নিকটতম BRTA অনুমোদিত ব্যাংকের শাখায় এই ফি জমা দেয়া যাবে। এমনকি প্রত্যেকটি BRTA শাখায় একটি ব্যাংক বুথ থাকে যেখানেও আপনি এই ফি জমা দিতে পারবেন। তবে BRTA শাখায় বুথে অনেক ভিড় হয়। সুতরাং, সময় বাচাঁতে ফর্ম জমা দেয়ার আগেই ফি জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করুন।
লার্নার্স পারমিটের ফি হলো: এক ক্যাটাগরী ৩৪৫ টাকা, বাইক+গাড়ি=৫১৮ টাকা।
৭. পূরণকৃত লার্নার্স ফর্ম, ফি জমা দেয়ার রশিদ, ভোটার আইডির-ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ১টি পাসপোর্ট ও ৩টি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সাথে নিয়ে আপনার জন্য নির্ধারিত BRTA অফিসে চলে যান। সময় বাচাঁতে চাইলে সকাল ৮:০০ টার আগে উপস্থিত হন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক ভীড় হবে।
৮. লার্নার্স ফর্ম জমা দেয়ার নির্ধারিত বুথে কাগজপত্র জমা দিন। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার ফি-জমা দেয়ার রশীদে একটি তারিখ লিখে দিবে যেদিন আপনি নিজের লার্নার্স পারমিট সংগ্রহ করতে পারবেন। সাধারণত যেদিন ফর্ম জমা দিবেন তার পরবর্তী কার্য দিবসে এই পারমিট দেয়া হয়।
৯. নির্ধারিত দিনে রিসিপশন বুথ থেকে নিজের লার্নার্স পারমিট ও আবেদন ফর্মটি সংগ্রহ করুন। সংগ্রহ করার পর BRTA অফিসের নির্ধারিত কক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিতে হয়। স্বাক্ষর করানোর পর ফর্মটিকে আবার রিসিপশন বুথে জমা দিয়ে যেতে হবে। আর লার্নার্স পারমিট আপনি নিয়ে যাবেন।
ধাপ ২ঃ ড্রাইভিং টেস্ট
ড্রাইভিং টেস্টের দিনে নির্ধারিত পরীক্ষা সেন্টারে উপস্থিত হন। নিজের লার্নার্স পারমিট ও কলম অবশ্যই সাথে নিয়ে যাবেন
১. প্রথমে একটি লিখিত পরীক্ষা হবে।
২। লিখিত পরীক্ষার পর একটি মৌখিক পরীক্ষা হবে। সেখানে একজন কর্মকর্তা আপনাকে রাস্তার সাইনগুলোর অর্থ জিজ্ঞাসা করবেন।
৩। সবশেষে হবে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা। আপনাকে একটি গাড়ি/ বাইক চালিয়ে দেখাতে হবে।
এই পিডিএফ গুলো ডাউনলোড করুন এখান থেকেই সব কোশ্চেন আসবে
১. প্রশ্নব্যাংক
২. প্রতিক ও এমসিকিউ ( মৌখিক পরিক্ষা )
৩. ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র
তিনটি পরীক্ষায় পাস করলে আপনার লার্নার্স পারমিটের পেছনে তিনটি সাইন করা হবে। এটিই প্রমাণ করে যে আপনি পরীক্ষায় পাস করেছেন।ব্যস! আপনার কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে।
ধাপ ৩ঃ স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদন
এই লিংক থেকে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সের জন্য ফর্ম ডাউনলোড করুন। এই ফর্মটি ইংরেজিতে লেখা থাকবে। এর সাথে একটি বাংলা ফর্মও থাকবে। সেটাও পূরণ করতে হবে। খুব সুন্দর করে ইংরেজি বড় হরফে এই ফর্মগুলো পূরণ করুন।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী – ১৬৮০/-টাকা (০৫ বছরের নবায়ন ফীসহ)
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী – ২৫৪২/-টাকা (১০ বছরের নবায়ন ফীসহ)
নিছের দেয়া কাগজ-প্ত্র গুলো অবশ্যই সংযুক্ত করবেন
- ফর্মের সাথে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকবে
- নিজের লার্নার্স পারমিটের মূলকপি উভয় পাশের ৩টি ফটোকপি
- ৫ কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন
- ছবিপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট
- টাকা জমা দেয়ার রশিদ এবং তার দু্টি ফটোকপি
- ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপিসকল কাগজপত্র
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার ফর্ম জমা নিয়ে একটি প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ দেয়া হবে । এই রশিদ দেয়া হয় ১০ থেকে ১৫ দিন পর
ধাপ ৪: বায়োমেট্রিক
রশিদে আপনার বায়োমেট্রিক নেয়ার দিন-তারিখ লেখা থাকবে। সাধারণত আপনার ফর্ম জমা দেয়ার দিন থেকে একমাস পরে এই তারিখ দেয়া হয়। (দালালরা চাইলে এই তারিখও এগিয়ে আনতে পারে।
- তারিখ দেখে BRTA অফিসে যান
- টোকেন সংগ্রহের লাইনে দাড়ান
- বায়োমেট্রিক কাউন্টারের বাইরের স্ক্রীণে আপনার টোকেনের নম্বর ভেসে আসলে ভেতরে প্রবেশ করুন
- একজন কর্মকর্তা আপনার ইনফরমেশন গুলো টাইফ করবে
- করা শেষে চেক করে দেখুন ভূল আছে কিনা ?
- ভুল পেলে তাকে বলুন। উনি সাথে সাথে ঠিক করে দিবে।
- আপনার ছবি তোলা হবে , মেয়েদের ক্ষেত্রে কানের অলংকারও গ্রহণযোগ্য নয়, অবশ্যই কান দেখা যেতে হবে
- য়োমেট্রিক তথ্য দেয়া হয়ে গেলে আপনাকে একটি সাদা রঙের প্রিন্ট করা কাগজ দেয়া হবে।
- সেখানে আপনার লাইসেন্স ডেলিভারীর তারিখ লেখা থাকবে।
- আপনার দেয়া মোবাইল নাম্বারে 6969 এই ফরম্যাটে SMS করা হবে : DL DMXXXXXX
- SMS পাবার পরবর্তী ১ সপ্তাহের মধ্য আবারো BRTA অফিসে হাজির হন।
- নির্ধারিত লাইনে দাড়িঁয়ে থাকুন। নিজের প্রাপ্তি স্বীকার রশীদ প্রদানের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।
ডাউনলোড করার ওয়েব সাইট লিংকস
- লার্নার্স লাইসেন্স ফর্ম ডাউনলোড লিংক
- মেডিকেল সার্টিফিকেটটি ফর্ম ডাউনলোড
- উত্তরা BRTA অফিস (গুগল ম্যাপ)
- অনলাইনে ফি জমা এই লিংকে
- BRTA অনুমোদিত ব্যাংকের শাখায়
- স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সের জন্য ফর্ম ডাউনলোড এই লিংক
ধন্যবাদ